জিন এম জে বাবু pdf download

 



জিন এম জে বাবু রিভিউ ও pdf download 


﴾خَلَقَ الۡجَآنَّ مِنۡ مَّارِجٍ مِّنۡ نَّار ﴿ۚ۱ 

"আর তিনি জিনকে সৃষ্টি করেছেন ধোঁয়াবিহীন অগ্নিশিখা থেকে।" [সুরা আর-রহমান, ৫৫/১৫]


এই একটা আয়াতেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা জিন জাতিদের সৃষ্টির তত্ত্ব বলে দিয়েছেন। এই জিন জাতি নিয়ে মানুষের কৌতূহল ছিল সৃষ্টির শুরু থেকে। আশ্চর্যজনক ভাবে সৃষ্টির শেষ যুগে এসেও এই কৌতূহলের অনেকাংশই গোপনীয় থেকে গেছে যদিও কুরআনে এর ব্যাখ্যা রয়েছে তবুও মানুষ নিজেরা নিজেদের বানানো তথ্য দিয়ে এই রহস্য আবিষ্কার করতে উঠে পড়ে লেগেছে।


❝এই আয়াতের উদ্দেশ্য হলো সর্বপ্রথম জিনের সৃষ্টির বিষয়কে তুলে ধরা। সে হল আবুল জিন তথা জিনদের (আদি) পিতা। অথবা জিন এখানে জান্না দিয়ে 'জিনস'(জাতি) বোঝানো হয়েছে। যেমন অনুবাদও 'জাতি' অর্থে করা হয়েছে। مَارِجٍ বলা হয়, আগুন থেকে উঁচু হয়ে ওঠা শিখাকে।❞


এবার আসি তত্ত্বে। পৃথিবীর সৃষ্টির পরপরই মানুষকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়নি। তখন মানুষের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। পৃথিবীতে তখন জিন গোত্রের বসবাস। পৃথিবীতে জিন জাতিদের এত পরিমাণ অরাজকতা দেখে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা মালাইকাদের (ফেরেশতা) প্রেরণ করে ধ্বংস করতে নির্দেশ দেন। সেই মালাইকাদের সহিত সংযুক্ত হয়ে একটা জিন তার নিজ গোত্রদের হত্যা করতে থাকে। নাম আজাজিল। আল্লাহর পছন্দ হয়ে যায় সেই জিনটাকে। তিনি সেই আজাজিলকে মালাইকাদের মর্যাদা প্রদান করেন এবং বেহেশতে তুলে নেন। 

এরপর চলে যায় বহু বহু বছর। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা এবার প্রথম মানুষ সৃষ্টি করেন। নাম দেন আদম (আঃ)। সুরা আর-রহমানের ১৪ নাম্বার আয়াতেই বলেন, ❝আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি ঠুনকো পোড়া মাটি থেকে।❞


এবার প্রত্যেকটা মালাইকাকে সেজদা করতে বলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা। সবাই মান্য করে শুধু আজাজিল ছাড়া। মূলত জিন জাতি থাকায় আল্লাহর আদেশ অমান্য করার বৈশিষ্ট্য তার মধ্যে ছিল বলেই সে অমান্য করতে পেরেছিল। এবং শয়তানের জন্মও হয় সেদিনই এবং মানব সভ্যতার চরম শত্রু হিসেবে আবির্ভাব হয় তার। আজাজিল থেকে নাম হয় ইবলিশ।


এই ব্যাখ্যাটুকু দেওয়ার কারণ হলো ❝জিন❞ বই সম্পর্কে বলতে গেলে এই দুটো জিনিস আগে মাথায় রাখতে হবে।

চলুন ঘুরে আসি আখ্যান থেকে।


জিন বইয়ের আখ্যান : 


এমপি সাজেদের স্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী শহিদের কন্যা তারিন রহমানের নিজ গর্ভের বাচ্চার আকস্মিক মৃত্যুর পরে একটা বাচ্চা লালনপালন করার ইচ্ছে হয়। একটা স্বনামধন্য এতিমখানা থেকে তারা দত্তক আনে একটা মেয়ে। মিষ্টি চেহারার মেয়েটির সাথে সাথে সাজেদ এবং তারিনের দাম্পত্য জীবনও হয়ে ওঠে মধুর থেকে মধুরতর। কিন্তু ভাগ্যের লীলা খেলায় পড়ে যায় তারা। সেই দত্তক নেওয়া মেয়ের ঘটা করে জন্মদিন পালন করার দিন থেকে শুরু হয় তাদের সাথে এক অদৃশ্যের খেলা। সেই খেলা চলতে থাকে বাড়ির সবার সাথে। বিশেষ করে তারিনের সাথে। উদ্ভট আচরণ করা শুরু করে সে। ডাক্তাররা কূল খুঁজে পাননা এমন সময় ঘটনাক্রমে যুক্ত হয় একজন ডাক্তার রাকীর (রুকাইয়া করেন যিনি) সাথে। তার বিবরণেই উঠে আসে তারিনের সাথে কী ঘটেছিল তার বর্ণনা। তিনি কি আদৌ উদ্ধার করতে পারেন সাজেদের পরিবারকে না কি আরও বিপদের মুখে ফেলে আসেন এই নিয়েই লেখা বইটা। 

অন্যদিকে কাহিনির আরেক সূত্রে জাফর মিয়া মসজিদের মুয়াজ্জিন। কাকতালীয় ভাবে এক ইমাম চলে আসে মসজিদে৷ পরিবর্তন করে দেয় জাফর মিয়ার জীবন।


বইয়ের রিভিউ : 


প্রথমে শয়তানের বিষয় উল্লেখ করার উদ্দেশ্য এখানে ব্যক্ত করবো। শয়তান তার আসল রূপে ফিরে যাওয়ার পরপরই সে ঘোষণা দেয় যে কেয়ামত পর্যন্ত মানুষের বিরুদ্ধে তার শত্রুতা চলবে। এখন শয়তান তো একা আর মানুষ অনেক তাই অবশিষ্ট যে জিনগুলো তখনও পৃথিবীতে বিচরণ করছিল তাদের হাত করে সে। তার দলবল বাড়াতে থাকে। ততদিনে মানুষ পৃথিবীতে বসবাস করতে শুরু করেছে। কিন্তু শয়তান মানুষের ক্ষতি করার কোনো উপায় খুঁজে পায় না কারণ মানুষের ক্ষতি করার জন্য তার একটা রাস্তা লাগবে। আর সবচেয়ে উপকারী রাস্তা হলো মানুষ নিজে। এই শুরু হলো জাদুবিদ্যা। জাদুবিদ্যা কত আগের তার কোনো সঠিক বর্ণনা পাওয়া যায় না। হযরত মূসা (আঃ) এর কওমের নিকট যে বর্ণনা পাওয়া যায় তাতে ধারণা করা হয় তারও আগে জাদুবিদ্যার প্রয়োগ ছিল। হযরত মূসা (আঃ) এর জীবনী অধ্যয়ন করলে জানা যায় তখন বেশ কিছু ফারাওদের আমলে কিছু জাদুকর ছিল যারা লাঠি থেকে সাপ, বস্তু থেকে জীবে রূপান্তর করতে পারতো। 

যদিও তখন উচ্চ জাদু বা কালো জাদুর প্রবর্তন তেমন শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়নি। যদিও বা হতো তবে তা অত্যন্ত গোপনীয় ছিল। 

কালো জাদুর সবচেয়ে ভয়ংকর সময় দেখা দেয় হযরত সুলায়মান (আঃ) এর সময়। হযরত সুলায়মান আঃ ছিলেন মূসা আঃ এর পরবর্তী নবী। এবং তাঁর কথায় যেন জিন জাতি ওঠে বসে সে ক্ষমতা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তাঁকে দিয়েছিলেন। 

তখন থেকেই কালো জাদুবিদ্যার উৎপত্তি হয় বলে জানা যায়।


আমরা মানুষ জাতি সর্বশ্রেষ্ঠ স্বীকৃতি পেলেও সর্ব নিকৃষ্ট জাতির কাতারেও আমরা আছি। সুতরাং মানুষে মানুষে ভেদাভেদ হয়। মানুষ তার নিজের জিনিসটাকে পাওয়ার জন্য অথবা প্রতিশোধপরায়ণা থেকে অনেক কিছু করতে পারে। 

সেই করার মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে হচ্ছে মানুষ যখন সেই পাওয়া আর না পাওয়ার মাঝখানে শয়তানকে প্রতিষ্ঠা করে। এখানেই মূলত সব কিছু আঁটকে যায়। মানুষ তার নিজ কর্ম হাসিল করার জন্য শয়তানের শরণাপন্ন হয়। আর শয়তান সবচেয়ে খুশি হয় তখন যখন কোনো মানুষ তাকে সিজদা দেয়। কোনো জাদুকরই শয়তানকে সিজদা অথবা মূল্যায়ন করা ছাড়া জাদুকর হতে পারে না। অন্ততপক্ষে কালো জাদুকর হওয়া যায় না।

জিন বইতে যার উল্লেখ পাওয়া যায় এর প্রতিটা পরতে পরতে।


❝জিন❞ বইটিতে কালো জাদুর বিবরণ অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত ভাবে দেওয়া হয়েছে। তাই কালো জাদুর বিষয়টা আগে ফলাও করে নিয়েছি যাতে যারা পড়বেন তাদের বুঝতে সুবিধা হয়। কালো জাদু ছাড়াও বইটিতে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে তা হলো জিনদের পর্যালোচনা। 

জিনরা কত প্রকার ও কী কী তার বিস্তর আলাপ রয়েছে বইটিতে।


আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বইটিতে রুকাইয়া সম্পর্কিত অনেক খুঁটিনাটি বিষয় রয়েছে। মানুষ যখন জিন, জাদু ইত্যাদির বশবর্তী হয় তখন ইসলামে এর প্রতিকারের জন্য রুকাইয়ার ব্যবস্থা করার প্রচলন আছে। মূলত কুরআনের আয়াত এবং দোয়া দিয়েই সেই রুকাইয়া করা হয়। রুকাইয়ার অনেক ধাপ রয়েছে। বদ নজরের রুকাইয়া আছে, স্বাভাবিক জিনে ধরার রুকাইয়া আছে, কালো জাদুর আছর থেকে মুক্তি পাওয়ার রুকাইয়া আছে ইত্যাদি ইত্যাদি। 

প্রত্যেকটা রুকাইয়ার ধাপ আলাদা। যেহেতু কালো জাদুর উপর ভিত্তি করে এই বই লেখা হয়েছে তাই এই রুকাইয়ার ধাপ আলাদা।


[সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ কোনো পেশাদার রাকী ছাড়া নিজে নিজে কখনোই রুকাইয়া করতে যাবেন না। কারণ প্রত্যেকটা রুকাইয়ার সাথে অনেক কিছু যুক্ত থাকে। ভুল হলে মৃত্যুও হতে পারে৷]


পাঠ প্রক্রিয়া : 


বইটি পড়ার সময় যতটুকু বোরিং লাগবে ভেবেছিলাম ততটুকু লাগেনি। বেশ সাচ্ছন্দ্যেই পড়েছি। বিশেষ করে জাফরের বর্ণনাগুলোয় একটা সত্যতা ছিল বলেই বোরিং লাগেনি। অথবা এই বিষয়গুলোতে কৌতূহল ছিল বলেই একটা গবেষণামূলক বই তাড়াতাড়ি শেষ করতে পেরছি। 

জিন জাতিকে নিয়ে অন্যান্য মানুষের মতো আমারও আগ্রহ তুঙ্গে ছিল। সুরা জিনে বিস্তর ভাবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলে দিয়েছেন। তারপর তাফসীরে ইবনে কাসীরেও এর বর্ণনা বিস্তারিত ভাবে দেওয়া আছে।

কিন্তু একটা উপন্যাসের আঙ্গিকে এই তথ্যগুলো তুলে ধরায় বেশ সুখপাঠ্য ছিল।


অনেক মানুষই আছেন যারা এসবে বিশ্বাস করেন না। যে বস্তু তাদের চোখে দেখা হয়নি তারা সে বস্তুতে বিশ্বাস করতে নারাজ। ঠিক তেমনই আসলানও এসবে বিশ্বাস করতো না। লেখক আসলানকে দিয়ে বিশ্বাস করিয়ে দেখিয়েছেন যেটা ভালো লেগেছে। 

আমার নিজেরও কিছু রুকাইয়া দেখার সুযোগ হয়েছিল৷ যেরকম বর্ণনা গল্পে মিলেছে এত ভয়াবহ হয়নি তবে যতটুকু ছিল তাতে হাঁড়ে কাঁপুনি ধরেছিল ঠিকই।


লেখনশৈলীঃ


লেখকের বর্ণনা ভালো হলেও কিছু কিছু জায়গায় অত্যন্ত বিরক্ত লেগেছে। কিছু কিছু না বরং বেশ কিছু জায়গায়। মূলত সম্পাদকের এসব দেখা উচিৎ ছিল। প্রত্যেকটা বাক্যের পরে 'ল' টানার কারণে অত্যন্ত বাজে লাগছিল প্রেজেন্টেশনটা। একজন লেখক যে কোনো গল্প কতটুকু সুন্দর করে প্রেজেন্টেশন করবে তার উপর নির্ভর করে গল্পটা কেমন হয়েছে। একটা সুন্দর প্লট আর গবেষণা ছাড়াও গল্প বুননকৌশল একটা বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ দিক। 

তিনি বর্ণনা করেছেন ঠিকই, আমি বুঝতেও পেরেছি তিনি কী বলতে চেয়েছেন কিন্তু একটা বই পড়ার যে ফ্লো থাকে সেটা খুঁজে পাইনি। আমার যদি জিন এবং রুকাইয়া সম্পর্কে কৌতূহল না থাকতো তবে বইটা এত তাড়াতাড়ি পড়া হতো কি না সন্দেহ ছিল।


তার গবেষণার সত্যতা শতভাগ নিশ্চিত। সেখানে কোনো ভুল নেই। এবং রেফারেন্সগুলোও সঠিক। কারো কারো মনে হতে পারে এটা একটা হাদিস সংকলন। 

তবে গল্প আকারে। আমি আগেই বলেছি কোনোরকম আড়ষ্টতা আসেনি। ঐ একটা বিরক্তি ভাব ফুটে উঠেছিল যখন প্রত্যেকটা বাক্য ল দিয়ে শেষ হচ্ছিল দেখে। একসাথে অনেকগুলো বাক্য যেমন, 'সে খেয়ে উপরে গেল৷ তারপর ঘুম দিল। সকালে উঠে নাস্তা করল। তারপর রওনা দিল৷ একটায় গিয়ে পৌঁছল' ইত্যাদি ইত্যাদি রকমের অনেক বাক্য ছিল। সেখানে একটু আধটু বিস্তারিত অথব 'ল' বর্গ দিয়ে শেষ না করলেও পারতো। 

প্রথম অধ্যায়ের বর্ণনাটা বেশ সুখপাঠ্য হয়েছিল৷ বেশ গর্বের সাথে বলছি বানান ভুল চোখে পড়েনি তেমন একটা।


চরিত্রায়নঃ


প্রত্যেকটা চরিত্র বেশ দারুণ ছিল। যেখানে যতটুকু দরকার ততটুকুই দেওয়া হয়েছে। মাহার চরিত্রটুকু আরেকটু ফোটালে ভালো হতো যদিও সিকুয়েল আছে তাই সেখানে মাহার চরিত্রের বিস্তর আলাপ হবে বোঝা গেছে। রফিকেরও পরের বইতে বেশ বর্ণনা থাকবে তাও বোঝা গেছে। আমার কাছে সবচেয়ে রহস্যময় চরিত্র মনে হয়েছে জাফরকে। এবং অবশ্যই অকপটে স্বীকার করা যায় জাফরের চরিত্র রহস্যময় করেই ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। 

সবচেয়ে ভালো লেগেছে আসলানের চরিত্রকে তিনি যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন সেই বিষয়টা। আসলানের ভূমিকা যে পরের সিকুয়েলে রয়েছে তার আগাম বার্তা এখানে তিনি দিয়ে গিয়েছেন। তারিন চরিত্র নিয়ে কিছু বলার নেই। আমার কাছে মনে হয়েছে তারিনকে যেহেতু জিনে ধরেছিল সেহেতু ওটা জিনেরই চরিত্র ছিল। জোক্স অ্যাপার্ট। তারিন ছিল গল্পের মূল অংশ। তারিনের সাথে ঘটা বর্ণনাই প্রত্যেকটা পাঠককে ভয়ের উচ্চ মাত্রায় নিয়ে যাবে। লেখক শেষে এসে এটা না করলেও পারতো। তবে পরবর্তী সিকুয়েলের জন্য টুইস্ট রাখতেই এমন করেছে লেখক তা আন্দাজ করতে পেরেছি।


উপসংহারঃ


মানুষের বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের মাঝখানে একটা বিশাল তফাৎ রয়েছে। যে বিশ্বাস করে তার কাছে অতিপ্রাকৃত সবকিছুই যৌক্তিক। যে বিশ্বাস করে না তার কাছে এর কোনো অস্তিত্বই নেই। বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। 

যারা অবিশ্বাস করে তাদেরকে চাক্ষুস দেখালেও তারা বিশ্বাস করবে না। কিন্তু বিশ্বাস করা আর না করায় কোনো কিছু থেমে থাকে না। অতিপ্রাকৃত বিষয়গুলো বিশ্বাসীদের যতটা ভাবায় অবিশ্বাসীদের ঠিক ততটাই হাসায়। 

কিন্তু এর ঊর্ধ্বে কিছু তো নিশ্চয়ই আছে। 

পশ্চিমা দেশগুলোতে ঈশ্বরের অস্তিত্বের থেকে শয়তানের অস্তিত্ব মুখরিত হয় বেশি। সেই ধারা অব্যাহত রাখতে ইহুদিরা তৎপর। 

যত পরিমান কাল্টিস্ট পশ্চিমা দেশগুলোতে রয়েছে তত পরিমান আমাদের দেশে না থাকলেও বিভিন্ন রাস্তায় বিভিন্ন ব্যানারে লেখা দেখতে পাওয়া যায় যে এখানে জিন দিয়ে এটা সেটা করা হয়। কতটা ভয়াবহ হতে পারে এই বিষয়গুলো তা জিন বইটিতে বেশ সুন্দর করে তুলে ধরেছেন লেখক এম.জে.বাবু ভাই। 

একটা জিন অথবা এই কালো জাদু বিষয়টা যে কতটা ভয়ানক তা জিন বইতে বেশ সুন্দর করেই তুলে ধরা হয়েছে।

আপনার কাছে বিষয়টা নিছক গল্প হলেও এরকম অহরহ ঘটনা প্রচুর রয়েছে। অজস্র রাকী হাঁপিয়ে গেছে রুকাইয়া করতে করতে। জিন বইটি আমার কাছে একটা নিদর্শন হয়ে থাকবে। আশা করি এই সিরিজের পরের বই খুব দ্রুত পাবো। আর আশা করি সম্পাদক বা লেখক কেউই সেই বইতে বুননশৈলীর অমন ভুল করবেন না।



Post a Comment

2 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !